আমরা প্রতিদিন মেশিন হয়ে উঠছি। যতই ভাবি আজকের কাজটা শেষ করতে পারলে আগামীকাল কিছুটা বিশ্রাম নিতে পারব। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ন উল্টো। আবারো সেই কাজের চাপ কারণ দুনিয়ার সবকিছু অনেক দ্রুত দৌড়াচ্ছে। যদি কেউ সমান তালে না দৌড়ায় তবে সে পিছনে পড়ে যাবে। আর পিছনে পড়লে তো হেরে যাবে। এই দৌড়ে প্রধান বাধা হলো ঢাকার অসহনীয় যানজট।
এই অসহনীয় যানজট আমাদের সব ইচ্ছাশক্তিকে ম্লান করে দিচ্ছে। কোন কাজে কোথাও গেলে মাঝ পথেই তার এনার্জি শেষ। আবার ফেরার সময়ও একই অবস্থা। মন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। অনেক ঝড় ঝাপ্টার পর প্রফুল্ল মনে বাসায় ফেরা যায় না। দুর্বল হয়ে ফিরতে হয়। মেজাজ খুবই খারাপ থাকে।
এখানে আলমাস স্যারের একটা লেখার কথা মনে পড়ল। তিনি লিখেছিলেন,”রাগ অাসে না , অাসলে তো আপনি দেখতে পেতেন , রাগ হেটে আসছে না উড়ে আসছে , তা হলে না ঠেকানোর ব্যাপার ছিলো । রাগ তাহলে কী উঠে ? । রাগ কী আপনি জমা করে রেখেছেন যে, সেখান খেকে উঠাচ্ছেন ? আসলে রাগ অাসেও না ,উঠেও না । প্রকৃৃতপক্ষে রাগ আপনি তৈরী করেন ।কারণ “You are the Creator of your own thoughts ” আপনি আপনার চিন্তাকে / ভাবনা কে সৃৃষ্টি করেন । আপনি রাগের বা গালি দেবার চিন্তা করবেন নাকী হাসি বা প্রশংসা করার চিন্তা করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।”
সবই ঠিক আছে কারণ আমাদের আল্লাহ সৃৃষ্টির শ্রেষ্ট করে তৈরী করেছেন। আমাদেরই তো উত্তম ব্যবহার থাকতে হবে। কিন্তু পারছি কই। সমাজের নানা বৈসম্য আমাদের মনকে বিষিয়ে তুলছে। যেমনঃ ধনি-দরিদ্র, চাকরি, পড়াশুনা, ব্যবসা, বাসস্থান, চিকিৎসা, যোগাযোগ, আইনি সহায়তা ইত্যাদি ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন, “রাগ মানুষের শিক্ষাজীবন ,পরিবাারিক জীবন, দাম্পত্য জীবন, পারস্পরিক সম্পর্ককে ,ব্যক্তি জীবনকে ধ্বংস করে দেয় এ থেকে বাচতে রাগকে কোন অবস্থায় তৈরী করা যাবে না । মানুষ ভালো কাজ করলে পুরুষ্কার, খারাপ কাজ করলে তিরষ্কার । আপনি কী করবেন সেটা আপনার চয়েস?”
আমি তো উত্তম হয়ে বেঁচে থাকতেই চাই। কিন্তু আমাকে সহায়তা করার কি কেউ আছে?? রাষ্ট্র আমাকে সহায়তা করছে বলেতো মনে হয় না। তবে আশা ছাড়ছি না। পথ চেয়ে বসে আছি কবে সে কাজ করবে আর আমরা হাসিমুখে কাজে যাব আর ফিরে আসব। আনন্দময় হবে আমাদের ভুবন।
আর নিজেরা চেষ্টা করে কিছুটা হলেও প্রত্যেকে প্রত্যকের হাসিমাখা মুখ দেখার প্রত্যাশায় “উদ্যোক্তা পরিবার” গঠনের সিদ্ধান্ত। সবার দোয়া আর সহযোগিতা কামনা করছি।