ব্যবসায়ে ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট বলতে কি বোঝায়?

Break-Even Point

ব্যবসায়ের ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট হল সেই বিন্দু যেখানে একটি ব্যবসায়ের মোট আয় তার মোট খরচের সমান হয়। এই পয়েন্টে, ব্যবসায়ের কোন লাভ বা ক্ষতি হয় না।

ব্রেক-ইভেন এনালাইসিস বুঝতে হলে আরো দুটি টার্ম আপনাকে বুঝতে হবে। সেগুলো হল ফিক্সড খরচ এবং ভ্যারিয়েবল খরচ।

  • ফিক্সড খরচ: আপনার কিছু মাসিক খরচ আছে যেগুলো ব্যাবসা চলুক আর না চলুক, খরচ গুলো আসবেই। যেমন, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন।
  • ভ্যারিয়েবল খরচ: যা বিক্রির সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। যেমন, পণ্যের ক্রয়মূল্য, ডিসকাউন্ট অফার, পার্ট টাইম কর্মচারী। 

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট নির্ধারণ করার জন্য নিম্নলিখিত গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করা হয়:

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট= ফিক্সড খরচ/( এভারেজ সেলিং প্রাইস- ভ্যারিয়েবল খরচ)

অথবা,

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট = মোট স্থির খরচ / প্রতি ইউনিট বিক্রির লাভ

যেখানে,

  • মোট স্থির খরচ হল এমন খরচ যা ব্যবসায়ের উৎপাদন বা বিক্রির পরিমাণের উপর নির্ভর করে না, যেমন ভাড়া, ইনস্যুরেন্স এবং কর্মীদের বেতন।
  • প্রতি ইউনিট বিক্রির লাভ হল প্রতিটি বিক্রি ইউনিট থেকে প্রাপ্ত লাভ।

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন একটি ব্যবসার মোট স্থির খরচ ১০,০০০ টাকা এবং প্রতি ইউনিট বিক্রির লাভ ২০০ টাকা। এই ক্ষেত্রে, ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট হবে:

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট = ১০,০০০ / ২০০
= ৫০ ইউনিট

অর্থাৎ, ব্যবসাটিকে ৫০ ইউনিট বিক্রি করতে হবে যাতে মোট আয় মোট খরচের সমান হয়।

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এটি ব্যবসার লাভজনকতা এবং স্থিতিশীলতার মূল্যায়ন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্রেক-ইভেন পয়েন্টের চেয়ে কম বিক্রি করলে ব্যবসায় লোকসান হবে। ব্রেক-ইভেন পয়েন্টের চেয়ে বেশি বিক্রি করলে ব্যবসায় মুনাফা হবে।

আরও পড়ুনঃ কোম্পানী আইন ১৯৯৮ইং এবং তার ২য় সংশোধনী ২০২০ইং

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট নির্ধারণ করা ব্যবসার জন্য বেশ কয়েকটি সুবিধা প্রদান করে:

  • এটি ব্যবসার লাভজনকতা এবং স্থিতিশীলতার মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।
  • এটি ব্যবসার জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে সাহায্য করে।
  • এটি ব্যবসার আর্থিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।

ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট নির্ধারণ করার জন্য, উদ্যোক্তাদের ব্যবসাগুলিকে তাদের মোট স্থির খরচ এবং প্রতি ইউনিট বিক্রির লাভ সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে।

ব্রেক-ইভেন এনালাইসিসের কিছু নির্দিষ্ট ব্যবহার নিম্নরূপ:

  • নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য: নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে, ব্যবসায়ীরা তাদের ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট নির্ধারণ করতে চাইবেন। এটি তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।
  • নতুন পণ্য বা পরিষেবা চালু করার জন্য: নতুন পণ্য বা পরিষেবা চালু করার আগে, ব্যবসায়ীরা তাদের ব্রেক-ইভেন পয়েন্ট নির্ধারণ করতে চাইবেন। এটি তাদের নতুন পণ্য বা পরিষেবার জন্য কত বিক্রি প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে।
  • বাজার প্রবণতা মূল্যায়ন: ব্রেক-ইভেন এনালাইসিস ব্যবহার করে, ব্যবসাগুলি বাজার প্রবণতা মূল্যায়ন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি ব্যবসা ব্রেক-ইভেন পয়েন্টের উপরে বিক্রি বৃদ্ধি দেখলে, এটি বাজার প্রবণতা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিতে পারে।

ব্রেক-ইভেন এনালাইসিস একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক সরঞ্জাম যা ব্যবসাগুলিকে তাদের লাভজনকতা এবং স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন করতে সাহায্য করতে পারে।

কোম্পানী আইন ১৯৯৪ইং এর দ্বিতীয় সংশোধন-২০২০ইং

কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ইং এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন ২০২০ইং যা ২য় সংশোধনী নামে পরিচিত। কতগুলো নির্দিষ্ট ধারায় সংশোধন এসেছে।

ধারাসমূহ

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

২। ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ২ এর সংশোধন এবং নূতন ধারা ১১ক এর সন্নিবেশ

৩ । ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৩৮, ৮৫, ২৫৫, ২৬২, ৩২৭ এর সংশোধন

৪। ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনে নূতন খণ্ড দশম-ক এর সন্নিবেশ

৫। ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনের ধারা ৪০০ এর সংশোধন এবং নূতন ধারা ৪০১ক এর সন্নিবেশ

৬। ১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইনে নূতন তপশিল ৯ক ও ৯খ এর সন্নিবেশ

ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ কোম্পানী আইন ১৯৯৪ইং

কোম্পানি আইন ইংলিশ কোম্পানি অ্যাক্ট ১৮৪৪-এর ভিত্তিতে প্রণীত ১৮৫০ সালের ৪৩ নং আইন বলে কোম্পানি আইন চালু হয় এবং এতে করে রাজকীয় সনদ ছাড়াই প্রথম কোম্পানি গঠন ও নিবন্ধনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আরো জানতে… বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ১৯৭৯ সালে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও আইনজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কোম্পানি আইন সংস্কার কমিটি গঠিত হয়। কমিটি অনেকগুলি পরিবর্তনের সুপারিশ করলেও ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সংসদ নতুন কোনো পূর্ণাঙ্গ আইন পাস করে নি। আপনি ব্যবসা করবেন অথচ কোম্পানী আইন সম্পর্কে কোন ধরনা থাকবে না তা কি করে হয়! উদ্যোক্তা পরিবার বাংলাদেশের সকল উদ্যোক্তাগণকে কোম্পানী আইন পড়তে এবং জানতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ কাস্টমস আইন ১৯৬৯ইং

আইন হলো নিয়মের এক পদ্ধতি যাকে নাগরিক বাধ্যতা, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমাজের ভিত্তি নির্মাণ করতে ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কার্জকরী করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আইনের ব্যপকতা অনেক বড় তাই আইনের কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারে নাই, তবে বিভিন্ন আইনবিদগন বিভিন্ন ধরনের আইনের সংজ্ঞা দিয়েছেন।

বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে  কোন আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশে আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বা রীতি।

আবার সংবিধানের ১১১ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য এবং সুপ্রিম কোর্টের যে কোন বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন অধঃস্তন সকল আদালতের জন্য অবশ্য পালনীয় হইবে। সুতরাং ‘আইন’ মানে আইন, অধ্যাদেশ, আদেশ, বিধি, প্রবিধান, উপ-আইন, বিজ্ঞপ্তি ও অন্যান্য আইনগত দলিল এবং বাংলাদেশের আইনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন প্রথা বা রীতি এবং উচ্চ আদালতের রায়।

যারা আমদানী-রপ্তানী ব্যবসার সাথে জড়িত এবং যারা সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্মরত তাঁদের অবশ্যয়ই কাস্টমস আইন সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী।

ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন

রপ্তানী নীতি ২০১৫-২০১৮ইং (Export Policy 2015-2018)

পলিসি বা নীতি হল সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং যৌক্তিক ফলাফল অর্জনের জন্য নির্দেশিকাগুলির একটি ইচ্ছাকৃত ব্যবস্থা যা একটি পদ্ধতি বা প্রোটোকল হিসাবে প্রয়োগ করা হয়। নীতিগুলি সাধারণত একটি সংস্থার মধ্যে একটি শাসন সংস্থা দ্বারা গৃহীত হয়। নীতিগুলি বিষয়গত এবং বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পারে। উদ্যোক্তা পরিবার বাংলাদেশ এর উদ্যোক্তাদের পন্য রপ্তানী বিধি নিষেধ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন। এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন অথবা ডাউনলোড করে রেখেও দিতে পারবেন।

ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন

আমদানী নীতি ২০১৫-২০১৮ইং (Import Policy 2015-2018)

পলিসি বা নীতি হল সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং যৌক্তিক ফলাফল অর্জনের জন্য নির্দেশিকাগুলির একটি ইচ্ছাকৃত ব্যবস্থা যা একটি পদ্ধতি বা প্রোটোকল হিসাবে প্রয়োগ করা হয়। নীতিগুলি সাধারণত একটি সংস্থার মধ্যে একটি শাসন সংস্থা দ্বারা গৃহীত হয়। নীতিগুলি বিষয়গত এবং বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতে পারে। উদ্যোক্তা পরিবার বাংলাদেশ এর উদ্যোক্তাদের পন্য আমদানী বিধি নিষেধ সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানা প্রয়োজন। এখান থেকে আপনি জানতে পারবেন অথবা ডাউনলোড করে রেখেও দিতে পারবেন।

ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন
error: Content is protected !!